আমাকে গুনাহের শাস্তি থেকে বাঁচানোর দশটি উপায় আছে–
১. আমি আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করব। আল্লাহ তাআলা আমার তাওবা কবুল করে নেবেন। পাপ করার পর তাওবা করলে, আমি এমন হয়ে যাবো, আমার যেন কোনো গুনাহই নেই।
২. আল্লাহর কাছে বারবার ইস্তেগফার করতে থাকব। ক্ষমা চাইতে থাকব। আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিবেন।
৩. বেশি বেশি নেকআমল করব। নেকআমল বদআমলকে মুছে দেয়।
৪. আমার জন্য যেন মুসলিম ভাইবোনেরা দোয়া করে, এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সবার কাছে দোয়া চাইব। জীবিত বা মৃত মুসলিম ভাইবোনের জন্য দোয়া করলে, আল্লাহ মাফ করে দেন।
৫. আমার জন্য মুসলিম ভাইবোনেরা নেকআমলের সওয়াব হাদিয়া পাঠালেও আল্লাহ আমাকে তার বিনিময়ে মাফ করে দিবেন।
৬. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার জন্য সুপারিশ করলেও আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিবেন।
৭. দুনিয়াতে আমার ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বালামুসিবত নেমে আসলেও আল্লাহ তাআলা সবরের বিনিময়ে অমাকে মাফ করে দিবেন।
৮. আলমে বরযখ বা কবরজগতে ফিতনা ও মুসিবতের সম্মুখিন হলেও আল্লাহ পরবর্তীতে আমাকে মাফ করে দিতে পারেন।
৯. কেয়ামত ময়দানের ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরও আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিতে পারেন।
১০. কোনও কারণ ছাড়া, কোনো আমল ছাড়া, আরহামুর রহিমীন এমনি এমনি আমার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে মাফ করে দিলেও আমি মুক্তি পেয়ে যেতে পারি।
.
.
একটি হাদীস পড়তে পারি, তিনি (আল্লাহ) বলেন–
“হে আমার বান্দারা! আমি অত্যাচারকে আমার নিজের জন্য হারাম করে দিয়েছি এবং আমি তা তোমাদের মাঝেও হারাম করলাম। সুতরাং তোমরাও একে অপরের প্রতি অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলেই পথভ্রষ্ট; কিন্তু সে নয় যাকে আমি সঠিক পথ দেখিয়েছি। অতএব তোমরা আমার নিকট সঠিক পথ চাও আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলেই ক্ষুধার্ত; কিন্তু সে নয় যাকে আমি খাবার দিই। সুতরাং তোমরা আমার কাছে খাবার চাও, আমি তোমাদেরকে খাবার দেব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলেই বস্ত্রহীন; কিন্তু সে নয় যাকে আমি বস্ত্র দান করেছি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে বস্ত্র চাও, আমি তোমাদেরকে বস্ত্রদান করব। হে আমার বান্দারা! তোমরা দিন-রাত পাপ করে থাক, আর আমি সমস্ত পাপ ক্ষমা করে থাকি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব। হে আমার বান্দারা! তোমরা কখনো আমার অপকার করতে পারবে না এবং কখনো আমার উপকারও করতে পারবে না।”
[আবু যর জুনদুব রা। মুসলিম: ১১১]
“হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ মানুষ ও জ্বিন সকলেই তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় একজন পরহেযগার ব্যক্তির হৃদয়ের মত হৃদয়বান হয়ে যায়, তাহলে এটা আমার রাজত্বের কোন কিছু বৃদ্ধি করতে পারবে না। হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ মানুষ ও জ্বিন সকলেই তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় একজন পাপীর হৃদয়ের মত হৃদয়ের অধিকারী হয়ে যায়, তাহলে এটা আমার রাজত্বের কোন কিছুই কমাতে পারবে না। হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ তোমাদের মানুষ ও জ্বিন সকলেই একটি খোলা ময়দানে একত্রিত হয়ে আমার কাছে প্রার্থনা করে, আর আমি তাদের প্রত্যেককে তার প্রার্থিত জিনিস দান করি, তাহলে (এ দান) আমার কাছে যে ভান্ডার আছে, তা হতে ততটাই কম করতে পারবে, যতটা সূঁচ কোন সমুদ্রে ডুবালে তার পানি কমিয়ে থাকে। হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের কর্মসমূহ তোমাদের জন্য গুণে রাখছি। অতঃপর আমি তোমাদেরকে তার পূর্ণ বিনিময় দেব। সুতরাং যে কল্যাণ পাবে, সে আল্লাহর প্রশংসা করুক। আর যে ব্যক্তি অন্য কিছু (অর্থাৎ অকল্যাণ) পাবে, সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।’’
– শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফিঃ 💙