নতুন আদমশুমারী অনুযায়ী দেশে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা কম আছে 1,634,382 ( ষোল লাখ চৌত্রিশ হাজার তিনশত বিরাশি) জন।
হাদিস শরীফের ভাষ্য অনুযায়ী, কিয়ামতের আলামত হচ্ছে, মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার দেখা-শুনার জন্য মাত্র একজন পুরুষ থাকবে।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরামের দুটি মতামত আছে। কেউ কেউ বলেছেন, শেষ যমানাতে যুদ্ধবিগ্রহ, মারামারি, খুনাখুনি বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরুষরা অধিকহারে নিহত হবে। ফলে পুরুষদের সংখ্যা কমে যাবে। বাস্তবতাও আমরা এমন দেখছি। দূর্ঘটনা, মহামারি, যুদ্ধ, মারামারি ইত্যাদি ক্রাইসিসে পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি।
হাদিসের আরেকটি ব্যাখ্যা হল, কোন কারণ ছাড়াই কেয়ামতের আলামত হিসেবে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তায়ালা পুরুষের তুলনায় বেশি নারী সৃষ্টি করবেন। এই ব্যাখ্যার বাস্তবতাও আমাদের সামনে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হল, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশি আশে পাশে অধিকাংশ মায়ের ঘরেই মেয়ে সন্তান জন্ম নিচ্ছে বেশি।
মোটকথা যুদ্ধবিগ্রহ সহ বিভিন্ন ক্রাইসিস এবং স্বভাবজাত উভয় কারণেই নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। হাদীসের আক্ষরিক অর্থ মোতাবেক সংখ্যাগত যেই ব্যবধান সেখানে আমরা এখনো পৌঁছিনি। তবে হয়ত আমরা সেদিকে যাত্রা করছি।
নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মর্মে বর্ণিত হাদিসটিতে ধারাবাহিকভাবে আরো কিছু বিষয়ের উল্লেখ আছে। ইলম উঠে যাবে, অজ্ঞতা বেড়ে যাবে, ব্যভিচারে সয়লাব হয়ে যাবে, মদ পানের হিড়িক পরবে, তারপর পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। কমতে কমতে এই পর্যায় আসবে যে, ১ জন পুরুষের দায়িত্বে ও অভিভাবকত্বে ৫০ জনের মত নারীর জীবনযাপন গড় অনুযায়ী অবধারিত হয়ে যাবে।
হাদীসে ছয়টি আলামতের কথা এসেছে। এরমধ্যে পাঁচটিই আমাদের সামনে বাস্তবচিত্রে বিদ্যমান। ইলম উঠে যাওয়া থেকে শুরু করে পুরুষের সংখ্যা কমতে থাকা সবগুলোই বাস্তব ও সত্য। একসময় হয়ত সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে ষষ্ঠ আলামত তথা ১ জনের বিপরীরে ৫০ জনের ব্যবধানও বাস্তব হয়ে যাবে।
ওয়াল্লাহু আলাম ( আল্লাহই ভাল জানেন)।