♦️তাবলিগে গিয়ে দ্বীনি বুঝ পায়, কিছুটা আল্লাহর ভয় আসে, দাড়ি রাখে। একদম বুঝ না আসার থেকে তো এটা ভাল।
এখন কি করা উচিত? ♦️
▬▬▬▬𖣔𖣔𖣔▬▬▬▬
⛔প্রশ্ন : অনেক মানুষ তাবলিগে গিয়ে দ্বীনি বুঝ পায়,কিন্তু আপনার লেকচার শুনে জেনেছি এটা ঠিক না। কিন্তু যারা ঐরকমভাবে যায় না বা আসেপাশে সহী আকিদার দাওয়াতও পায় না। তাদেরকে কিভাবে বুঝানো উচিত? আর আমরা তো মেয়ে এলাকায় কোন সহী আকিদার ভাইও নাই যে তােদর বুঝাবে !একজন বলেছে তাবলীগে গেলে অন্তত কিছুটা আল্লাহর ভয় আসে, দাড়ি রাখে। একদম বুঝ না আসার থেকে তো এটা ভাল।
কি করা উচিত?
🔴উত্তর : দ্বীনি বুঝ পায় , শুধু দ্বীন পাওয়া যথেষ্ট না ! তাওহীদভিত্তিক দ্বীন পেতে হবে । যেই দ্বীনে আল্লাহর একত্ব ঠিক আছে শির্ক নেই । আর যে দ্বীন সুন্নত অনুকুলে হইতে হবে । বিদ'আত মুক্ত হইতে হবে । এ দুটো শর্ত অবশ্যই মনে রাখতে হবে । দ্বীন মানে ধর্ম , হিন্দুদের ধর্ম, বাতিল বিদআত পন্থী, শি/য়া/দের রাফে/জী/দের ধর্ম , খা/রে/জী জ/ঙ্গি/দের ধর্ম সমস্ত বিদ'আত পন্থী ,বের/লবী/দের ধর্ম। একি ধর্ম হইল নাকি? এসব ধর্ম করে তো জাহান্নামে যেতে হবে চিরকাল । তো কথা হচ্ছে যে, তাবলীগীদের যে দ্বীনি বুঝ পায়, সেটা শির্ক মেশানো বিদ'আত মেশানো। বহু বিদ'আত এবং বেশ কিছু শিরকি আকীদা তাদের মধ্যে রয়েছে । কারণ তারা সুফী ইজম থেকে এসেছে মূলত । তাদের প্রতিষ্ঠাতা যারা মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা জাকারিয়া তারা সবাই সুখী ছিলেন সুতরাং এই সুফী ইজমে যে শির্ক বিদ'আত গুলি রয়েছে সেগুলি তাদের মধ্যে তাদের মুরুব্বীদের মধ্যে থেকে গেছে । আর এই শিক্ষাই তারা পেয়ে থাকে । তো দ্বীনের বুঝ মানে শুধু দাড়ি টুপি নয় , আর মসজিদ মুখি হওয়া নয় বরং দ্বীনের বুঝ হচ্ছে আল্লাহর একত্ব বোঝা তৌহীদ বুঝা প্রথম । সুন্নাহ বুঝা শির্ক বিদ'আত মুক্ত হয়ে এবাদত-বন্দেগি করা । আশা করি এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ।
তারপরে বলেছেন যে ,
যারা ঐরকম যায় না বা আশেপাশে সহি আকিদার দাওয়াত পায় না তাদেরকে কিভাবে বোঝানো উচিত ?
জ্বী ,তাবলীগের যে অসারতা রয়েছে তাবলীগি কিতাবে বা তাবলীগী এদের আকিদায় যে শিরক-বিদআত রয়েছে এই সম্পর্কে আমাদের আলোচনা গুলো আছে ইন্টারনেটে সেগুলি তাদেরকে দেবেন এবং আরও ওলামা একরাম দের তাবলীগ সম্পর্কে সতর্কীকরণ আছে । আরব ওলামাদের রয়েছে সেগুলোও শোনাবার চেষ্টা করবেন । জ্বী,তাদেরকে তাবলীগের উপর তাবলীগের যে কিতাবে শিরক-বিদ'আত আছে এই সম্পর্কে বেশকিছু বই বাংলায় রয়েছে সেগুলোও দিবেন তাদেরকে। এভাবে দাওয়াত দেবেন।
সহি আকিদার ভাই ও নাই যে তাদের বোঝাবে একজন বলেছে তাবলীগকে গেলে অন্তত কিছুটা আল্লাহর ভয়ে আসে ,
আল্লাহর ও ভয় আসে আর মুরুব্বীদের সম্পর্কে এই ধারণা আছে যে মুরুব্বীদের কবর থেকে সাহায্য আসে। নবী ﷺ কবর থেকে হাত বেরিয়ে আসে নবী ﷺ কবর থেকে ওয়ালাইকুমুস সালাম জবাব আসে। নবী ﷺ এর কাছে গিয়ে কবরের কাছে গিয়ে ক্ষুধার কথা পেশ করলে দরখাস্ত করলে রুটি চলে আসে স্বপ্নযোগে।এসব কথা তাবলীগী নেসা ফাযায়েল আমলে আছে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
এই রকম শিরকি আকীদা আমল নিয়ে এবাদত-বন্দেগি করলে নাজাত পাওয়া যাবে না ।
আল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন বোঝার তৌফিক দান করেন।
▬▬▬▬𖣔𖣔𖣔▬▬▬▬
ইসলামিক কালচারাল সেন্টার,
দাম্মাম, সৌদি আরব।