আয় নির্ধারণে ব্যবহৃত স্থিতিপত্র পদ্ধতি
আয় নির্ধারণে ব্যবহৃত স্থিতিপত্র পদ্ধতি মূলত সংশ্লেষক পদ্ধতি থেকে উদ্ভূত। এটি আয় নির্ণয়ের সহজ ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি ।
স্থিতিপত্র পদ্ধতি : যে পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট হিসাব বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নিট সম্পদের হ্রাস বৃদ্ধির মাধ্যমে আয় নির্ণয় করা হয় তাকে স্থিতিপত্র পদ্ধতি বলা হয় । এতে মোট সম্পত্তি থেকে মোট বহিঃদায় বাদ দিয়ে নিট সম্পত্তির পার্থক্যকে আয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সহজ কথায় কোনো হিসাব বছরের প্রারম্ভিক ও সমাপনির তারিখে নিট সম্পদের পার্থক্য দ্বারা আয় পরিমাপ করা হয়। এতে মনে করা হয় যে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া মানে আয় বৃদ্ধি পাওয়া এবং সম্পদ হ্রাস পাওয়া মানে আয় হ্রাস পাওয়া।
এতে আরও মনে করা হয় যে, প্রতিটি লেনদেন দুটি বিপরীতমুখী সমপরিমাণ প্রবাহ সৃষ্টি করে। একটি হলো অন্তঃপ্রবাহ এবং অপরটি হলো বহিঃপ্রবাহ। প্রতিটি প্রবাহই মজুত সম্পদের পরিবর্তন ঘটায়। মূলধন অক্ষুণ্ণ রেখে আয় নির্ধারণ করা হয় বলে এই পদ্ধতি মূলধন সংরক্ষণ নীতির উপর নির্ভরশীল। এই ধারণার আলোকেই স্থিতিপত্র পদ্ধতিতে আয় নির্ধারণ করা হয়।
এই পদ্ধতিতে আয় পরিমাপের সমীকরণ হলো : আয় = সমাপনি নিট সম্পদ – প্রারম্ভিক নিট সম্পদ অতিরিক্ত মূলধন + উত্তোলন।
আয় নির্ধারণে স্থিতিপত্র পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণ সহজ এবং ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই পদ্ধতির আরেকটি ইতিবাচক দিক হলো এই পদ্ধতিতে মূলধনের পরিমাণ অক্ষুণ্ণ থাকে।