একলোক তার ছেলের বিরুদ্ধে আমিরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহুর কাছে বিচার নিয়ে গেল।সে বলল,আমিরুল মুমিনীন!আমার ছেলে আমার কথা শুনে না।সে আমার সাথে বেয়াদবি করে।
উমর ইবনুল খাত্তাব তার সন্তানকে ডেকে পাঠালেন এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
ঐ লোকটির সন্তান বলল,হে আমিরুল মুমিনীন!সব দায়িত্ব কি শুধু আমাদেরই? মা-বাবাদের কি কোন দায়িত্ব-কর্তব্য নেই?
আমিরুল মুমিনীন উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন।অবশ্যই আছে।বাবার দায়িত্ব তিনটি--এক. সন্তানের জন্য ভালো মায়ের ব্যবস্থা করা(অর্থাৎ দ্বীনদারতা দেখে নারীকে বিয়ে করা) দুই. সন্তানের ভাল নাম রাখা। তিন. সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দেয়া।
তখন ছেলেটি বলল,আমার বাবা ত এই তিনটার একটাও পালন করেননি। আমার বাবা বিয়ে করেছেন এক নিগ্রো নারীকে; যিনি এক অগ্নি উপাসকের দাসী ছিলেন।তিনি আমার নাম রেখেছেন "খুনফাসা"(অর্থাৎ গোবরে পোকা) আর তিনি আমাকে আল কুরআনের একটি অক্ষরও শিক্ষা দেননি।
উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এবার সেই বাবার দিকে ফিরে বললেন,সন্তানের জন্য তুমি নিজের দায়িত্ব পালন করনি আর এখন এসেছ উলটো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে?[আবুল লাইস সমরকন্দী রহিঃ, তাম্বীহুল গাফিলিন]
আজকাল ছেলেমেয়ে অভিযোগ দেয় মা-বাবার বিরুদ্ধে আর মা-বাবার অভিযোগ ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে।কিন্তু সবাই একটা বিষয় গোপন করে,তা হল নিজের দোষ,আপন দায়িত্বে অবহেলা ও অসচেতনতা।আসুন,মা-বাবা হয়ে ছেলেমেয়েদের কিংবা ছেলেমেয়ে হয়ে মা-বাবাদের দোষারোপ করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে শিখি,আমি আমার দায়িত্ব পালনের শতভাগ চেষ্টা করছি তো?নাকি দোষ আমারই!