সুস্বাস্থ্য আল্লাহর দেয়া নিয়ামতঃ
اسْأَلُوا اللهَ العَفْوَ وَالعَافِيَةَ، فَإِنَّ أَحَدًا لَمْ يُعْطَ بَعْدَ اليَقِينِ خَيْرًا مِنَ العَافِيَةِ،
‘তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও সুস্থতা কামনা কর। কেননা ঈমানের পর সুস্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক উত্বস্ত্ত কাউকে দান করা হয়নি’। (তিরমিযী হা/ ৩৫৫৮; মিশকাত হা/২৪৮৯; ছহীহ হাদীছ।)
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘ক্ষমার মাধ্যমে বান্দা আখেরাতের শাস্তি থেকে নিরাপত্তা লাভ করে এবং সুস্থতার (العَافِيَةَ) দ্বারা বান্দা দুনিয়াবী যাবতীয় আত্মিক ও শারীরিক ব্যাধি থেকে হেফাযতে থাকতে পারে’।
ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৪/১৯৭।
রাসূল (ছাঃ) সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা করে দো’আ করতেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، اللَّهُمَّ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي، وَاحْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِيْ، وَعَنْ شِمَالِيْ، وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي،
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্ দুন্ইয়া ওয়াল আ-খিরাতি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া, ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-ইয়া ওয়া আহ্লী, ওয়া মা-লী। আল্ল-হুমাসতুর ‘আওর-তী, ওয়া আ-মিন রও‘আ-তী। ওয়াহফাযনী মিন বায়নি ইয়াদাইয়্যা ওয়ামিন খলফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী, ওয়া ‘আন শিমা-লী, ওয়ামিন ফাওক্বী। ওয়া আ‘ঊযু বিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী’।
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের অনুগ্রহ ও নিরাপত্তা-সুস্থতা চাই। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার দোষ-ত্রুটিগুলো গোপন রাখ এবং আমার ভয়কে শান্তি ও নিরাপত্তায় পরিণত কর। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার সামনের দিক থেকে, পিছনের দিক থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকেও উপর থেকে হেফাযত কর। হে আল্লাহ! আমি মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হ’তে তোমার কাছে আশ্রয় চাই’।
আবূদাঊদ হা/৫১৭৪; ইবনু মাজাহ হা/৩৮৭১; মিশকাত হা/২৩৯৭; হাদীছ ছহীহ।
রাসূল (ছাঃ) নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর নিকটে এই দো‘আ করতেন,
أَذْهِبِ البَأسَ رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا- ‘
হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি রোগ দূর করে দাও এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই তো আরোগ্যদানকারী, তোমার আরোগ্য ব্যতীত আর কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দাও, যারপর কোন রোগ থাকে না’।
বুখারী হা/৫৭৫০; মুসলিম হা/২১৯১; আবূদাঊদ হা/৩৮৮৩।