▪️▪️▪️সময়ের মূল্য দেওয়া উচিত▪️▪️▪️
▪️▪️▪️▪️▪️🍁🍁🍁▪️▪️▪️▪️▪️▪️
মানুষের জীবনে সময়ের মূল্য যে কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা মিয়া সাহেব [শাহ আসগর হোসাইন (রহ.)] কত সুন্দরভাবেই না বুঝিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের জীবনের খুব সামান্য অংশই অবশিষ্ট আছে। এখন তো একটু সাবধান হওয়া দরকার। এ-কে খুব বুঝে শুনে ব্যয় করা দরকার। দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক কমিয়ে ও ছিন্ন করে আখিরাতের সম্বল হাসিল করা দরকার।
সালাফে সালেহীনের (পূর্ববর্তী মনীষীদের) বয়স যখন চল্লিশ হয়ে যেত, তখন তাঁরা আখিরাতের কথা চিন্তা করে ব্যবসা- বাণিজ্য অন্যের হাতে তুলে দিয়ে নিজ-নিজ পরকালের সম্পদ অর্জনের চেষ্টায় লেগে যেতেন।
চিন্তা করা দরকার, যাদের বয়স পঁয়তাল্লিশ বা পঞ্চাশ হয়ে গেছে, তাদের জীবনের আর কতটুকুইবা বাকি আছে? সময় খুব চিন্তা-ভাবনা করে খরচ করা দরকার। আর যাদের বয়স ষাট বা তার উপরে হয়েছে, তাদের ভাবা উচিত, প্রতি বছরই তাদের বয়স বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর যারা সত্তর পেরিয়েছেন, তারা তো প্রতিদিনই প্রবৃদ্ধি লাভ করছেন। এর কদর করা দরকার, আখিরাতের ফিকির করা উচিত।
এ কথাকেই এক বুযুর্গ কবিতার আকারে এভাবে বলেছেন, যার কাব্যানুবাদ নিম্নরূপ-
আখিরাতের ফিকিরে মগ্ন হওয়াকে জরুরি ভাবো
কর্ম যেমন, নিশ্চিতভাবে তেমনি তো ফল পাবো
মরতে তো হবে একদিন জেনো নিশ্চয়ই সকলের
ভালো যা করার করে নাও ভাই সময় পাবে না ফের।
আখিরাতের যাত্রী হবে যে, খবর কি তোর নেই
বিদায়লগ্নে খবর হবে রে সময় যে আর নেই।
যা সামান বাঁধার বেঁধে নাও ওরে ও মরণযাত্রী
নিঃশেষ হবে তোমার আমার মোহিনী ধরিত্রী।
মরতে তো হবে একদিন জেনো নিশ্চয় সকলের
ভালো যা করার করে নাও ভাই সময় পাবে না ফের।
📖 উৎসঃ প্রিয় নবীর ﷺ প্রিয় সুন্নাত | পৃষ্ঠা-১৭
✒️ মাওলানা হাকীম মুহাম্মদ আখতার ছাহেব রহ.
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️
▪️▪️▪️• ────── ✾ ────── •▪️▪️▪️