লেখার মাঝে বানান ভুল না হওয়া আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে দেবে। ভুল বানানের লেখা...
১. পাঠক/পরীক্ষককে বিরক্ত করে।
২. নম্বর কমিয়ে ফেলে।
৩. আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা তৈরি করে।
সুতরাং লেখার ভিতর বানান ভুল না হওয়াটা জরুরি। কেবল স্কুল কলেজে না। চাকুরি জীবনেও। কিছু মৌলিক নিয়ম জানলে ও মনে রাখলে বানান ভুল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ক.
ট-বর্গের সব অক্ষরের সাথে (ট-ঠ-ড-ঢ) যুক্তাক্ষর সব মূর্ধন্য-ণ হবে [বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড]। কিন্তু বিদেশী শব্দ হলে আবার দন্ত্য-ন হবে [সেন্ট, লন্ডন, সেকেন্ড]
খ.
ত-বর্গের সব অক্ষরের সাথে (ত-থ-দ-ধ-ন) দন্ত্য-ন হবে। [বৃন্ত, বৃন্দ, গ্রন্থ৷, অন্ধ]
গ.
ঋ, র ও র-ফলা, রেফ (র্), ষ (ক্ষ) বর্ণের পরে দন্ত্য-ন না হয়ে মূর্ধন্য-ণ হয়৷ [ঋণ, রণ, তৃণ, বর্ণ, বিষ্ণু, বরণ, ঘৃণা, প্রেষণ।
ঘ.
যদি ঋ, র(্র), ষ(ক্ষ) বর্ণের পরে কোনো স্বরবর্ণ আসে...
বা ক-বর্গের অক্ষর আসে (ক-খ-গ-ঘ)...
বা প-বর্গের অক্ষর আসে (প-ফ-ব-ভ-ম)... কৃপণ [ক+র+প+ণ]
বা য-ব-হ-য় অথবা অনুস্বার (ং) থাকে... [গ্রহণ, শ্রবণ]
তার পরবর্তী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যায়। [বিদেশী শব্দে না]
ঙ.
বাংলা ক্রিয়াপদের (verb) শেষে মূর্ধন্য-ণ হয় না৷ যেমন: ধরেন, মারেন, করেন, যাবেন, খাবেন, হবেন, নিবেন, দিবেন৷
চ.
পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলে পরপদে দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না৷ যেমন: মৃগনাভি (মৃগ+নাভি), দুর্নাম (দুঃ+নাম), ত্রিনেত্র, মৃন্ময়৷
ছ.
বিদেশী শব্দের কখনোই মূর্ধন্য-ণ হয় না৷ যেমন: কোরআন, জার্মান, জবান, নিশান, ফরমান, রিপন৷
দেখতে সংস্কৃত সংস্কৃত লাগে এমন শব্দে ধরে নেবেন মূর্ধন্য-ণ হবে। ব্যতিক্রম আছে কিছু।