আমরা চাইলে সহজেই নবিজির একটি দু‘আর মধ্যে শামিল হতে পারি, ইনশাআল্লাহ।
.আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি—
.
نَضَّرَ اللهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئاً، فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ
.
‘‘আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে উজ্জ্বলতা দান করুন, যে আমার থেকে কোনো কথা শুনেছে, অতঃপর যেভাবে শুনেছে, ঠিক সেভাবেই (অন্যের কাছে) তা পৌঁছে দিয়েছে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৬৫৮; ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ২৩২; হাদিসটি সহিহ]
.
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নবিজির কথা যেভাবে শুনা হবে বা জানা যাবে, হুবহু সেভাবেই পৌঁছে দিতে হবে। কোনো কাটছাঁট বা অতিরঞ্জন করা যাবে না। নিজের ব্যাখ্যাকে হাদিসের সাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। তাহলে গুনাহগার হতে হবে। আর, হুবহু পৌঁছে দিতে পারলে, আমরাও ইনশাআল্লাহ উপরের হাদিসে বর্ণিত নবিজির দু‘আর অন্তর্ভূক্ত হতে পারবো।
.
বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম সুফিয়ান ইবনু উয়ায়নাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু‘আর বরকতে তুমি প্রত্যেক মুহাদ্দিসের চেহারায় এই উজ্জ্বলতা দেখতে পাবে।’ [ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমু‘উ ফাতাওয়া: ১/১১]
.
তবে, হাদিসের এই দু‘আটি শুধু আক্ষরিক নয়, বরং মুহাদ্দিসগণ বলেন, এর দ্বারা ব্যক্তির বিভিন্ন কল্যাণ অন্তর্ভূক্ত হবে।
.
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমাদের দ্বারা প্রচারিত কোনো হাদিসের উপর কেউ যদি আমল করে—আমাদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে—তবে, সেটির নেকি আমরাও পাবো। সে যতটুকু পাবে, ততটুকুই পাবো। এমনকি যত দিন সে এর উপর আমল করবে, ততদিনই! শুধু তাই নয়, আমাদের দ্বারা প্রভাবিত সেই ব্যক্তিটির প্রচারের মাধ্যমে যারা আমল করবে, তাদের নেকির সমানও আমরা পাবো। কেউ কারও নেকি কমাতে পারবে না। আল্লাহর ভাণ্ডার তো অফুরন্ত।
.
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের পথ দেখায়, তার জন্য থাকবে এর উপর আমলকারীর সমান প্রতিদান।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৪৭৯৩]