কখনো কখনো চাইলেও নিজের ইচ্ছেগুলো, নিজের দুঃখকষ্টগুলোর কথা কাউকে বলা যায় না।
আপনি জোরে চিৎকার করে নিজের কথাগুলো বলতে চাইবেন, কিন্তু পারবেন না!নীরবে কাঁদবেন, কেউ দেখবে না শুনবে না।
মানুষ সবচেয়ে যখন নিজেকে একা অনুভব করে, যখন কেউই আর আশেপাশে থাকে না, কেউ দেখে না শুনে না বুঝে না, সকল দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায়, কোনো আশার আলোই আর থাকে না,
তখনও একজন আমাদের শুনেন দেখেন, আমাদের পরম যত্নে আগলে রাখেন।
মায়ের পেটে তিনিই আপনার খাবার পৌঁছে দিতেন,
আপনি যখন কথা বলতে পারতেন না তিনিই তখন আপনার না বলা কথাগুলো অন্যের বোধগম্য করে দিতেন, যখন হাটতে পারতেন না আপনার সাহায্যকারী তৈরী করে দিতেন, আপনার নীরব চাওয়াগুলো তিনিই পূর্ণ করেন, আপনার আর্তনাদ তিনিই শুনেন,
আপনার চোখের পানির দাম একমাত্র তিনিই দেন।
ভেবে দেখুন জীবনে যতবার মন থেকে ডেকেছেন, তিনিই পাশে ছিলেন, সাহায্য করেছেন।
অথচ আপনি তাকেই ভুলে যান! তার শুকরিয়া আদায় করেন না!
আল্লাহ, যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল।
-(সূরা মুলক:২)।
আর নিশ্চয় মহান রব মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই শুকরিয়া আদায় করে না।
-(সূরা নামাল:৭৩)।
একমাত্র আল্লাহ তা'আলার কাছেই নিজের দুঃখকষ্টগুলোর কথা বলা যায়, কোনো সমস্যা ছাড়া।