মুসলিম প্যারেন্টিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সন্তানকে প্রফেশন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেয়া। মুসলিম হিসেবে কোন কোন প্রফেশন তার জন্য মৌলিকভাবে বৈধ আর কোন কোন পেশা তার জন্য বৈধ না- এই বিভাজনটা তার সামনে পরিষ্কার থাকতে হবে। নতুবা সন্তান একটি ভুল প্রফেশনকে নিজের জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিবে, যেটার দায় আপনি এড়াতে পারবেন না।
যেমন নৃত্য, গানবাদ্য, মডেলিং, ফিল্ম ও নাটকের ছোটবড় ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় সহ যেকোন ধরণের পেশা, পেশাগত খেলাধূলা সহ এরকম আরো কিছু বিষয় আছে, যেগুলো হারাম প্রফেশন। একজন মুসলিমের প্রফেশন এগুলো হতে পারে না।
সন্তানকে ছোটবেলা থেকে এই পেশাগুলোর ব্যাপারে নেতিবাচক করে তুলতে হবে। যেন তারা নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে এই পেশাগুলোকে লক্ষ্য না বানায়। কোন অভিভাবক যদি সন্তানের সামনে তার জীবনের সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে না পারে, তবে সে আসলে ব্যর্থ। এই ব্যাপারে তার যদি কোন চিন্তাই না থাকে, তবে আল্লাহর কাছে সে পাকড়াও হবে।
অথচ বর্তমান মুসলিম মা বাবারা অত্যন্ত নির্লজ্জের মত সন্তানদের সামনে এসব ক্যারিয়ারকে নেতিবাচক হিসেবে দেখানো তো দূরের কথা, বরং মহৎ করে তোলে। এর পিছনে অবশ্য মিডিয়া, দেশি বিদেশী নানা আয়োজন সহ সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েরও বিরাট ভূমিকা আছে।
টাকা, প্রসিদ্ধি, জাঁকজমক ক্যারিয়ার, সম্মান, পরিচিতি সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে এই ক্ষেত্রগুলোকে সবচেয়ে সফল, দামী ও উন্নত ক্যারিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তাদের জীবনযাত্রার একটি লক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয় এসব অবৈধ পেশাকে।
সন্তানের যেদিকে আগ্রহ, যেখানে সে প্রতিভা বিকাশ করতে পারছে তাকে সেখানেই অবাধ করে দেয়ার থিউরি মূলত লিবারেল প্যারিন্টিংয়ের থিউরি। মুসলিম প্যারেন্টিংয়ের থিউরি না৷ মুসলিমদের জন্য নি:শর্তভাবে এই থিউরি অনুসরণ করার অনুমতি নেই।
বরং সন্তানের দায়িত্বশীল তারা আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবেন সন্তানের ব্যাপারে। এজন্য সন্তান হারাম কোন প্রফেশনকে জীবনের লক্ষ্য বানালে মা বাবার চেষ্টা থাকতে হবে সেই লক্ষ্যকে চেঞ্জ করে বৈধতার সীমায় নিয়ে আসা।