লাভ জিহাদ (লাজি) পরিভাষাটা দ্বারা হিন্দুত্ব বাদী সন্ত্রাসীরা কি বুঝায়?

লাভ জিহাদ (লাজি) পরিভাষাটা দ্বারা হিন্দুত্ব বাদী সন্ত্রাসীরা কি বুঝায়?


কোন মুসলমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিংবা দাওয়াতের জের ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে কারো হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়াকে লাজি হিসেবে তারা ব্যক্ত করে। তাদের আস্ফালন ও ভাবসাব দেখে কেউ হয়ত ভাববেন যে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করাকে তারা লাজি বলছে। আবার নাম দেখে ভাবতে পারেন, কেবল প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনাকেই তারা কেবল লাজি বলছে।

কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এরকম নয়। বরং এর ব্যবহার তারা আরো বিস্তৃত পরিসরে নিয়ে গেছে। জোরজবরদস্তি ছাড়া স্বেচ্ছায় যেকারো হি ন্দু থেকে মুসলিম হওয়ার ঘটনাকে তারা লাজি বলে দাবি করে। 

এই লাজিকে তারা প্রতিরোধ করার জন্য ভা র তে মুসলিমদের সাথে নানাপ্রকার উগ্রতা সাধন করেছে। খুন, ধর্ষণ, গুম, জোরপূর্বক হি ন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা সবই সেখানে ঘটেছে। বাংলাদেশেও তারা প্রায় প্রতিটি বিভাগে লাজি প্রতিরোধের জন্য সংগঠন খুলেছে।

লাজি প্রতিরোধ বা এর প্রতিশোধ কল্পে তারা মৌলিকভাবে দুটি পরিকল্পনা নিয়েছে। 

এক. নওমুসলিমদের আইনী জটিলতায় ফেলে জোরপূর্বক হি ন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা।

দুই. প্রেমের সম্পর্কে ফেলে মুসলিম ছেলেদের ধর্মান্তরিত করা এবং নানাভাবে মুসলিম নারীদের আব্রুতে আঘাত করা। 

তাদের এই উভয় পরিকল্পনাতেই আমরা এখনো পর্যন্ত পরাজিত। প্রথম প্রকল্পে পরাজিত এই কারণে যে, আমরা নওমুসলিমদের আইনী ও সামাজিক সার্বিক সহায়তার জন্য এখনো পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোন কাঠামো দাঁড় করাতে পারিনি। 

আর দ্বিতীয় প্রকল্পে পরাজিত হওয়ার মূল কারণ তো বর্তমান যৌনতা ভিত্তিক অশ্লিল কালচার। যেখানে অবাধ যৌনতার কাছে ধর্ম, সমাজ, আইন সবকিছু অসহায়। বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালবাসা, ইন্টারফেইথ লাভ ও ম্যারেজ ইত্যাদি কনসেপ্ট মিডিয়া, নাটক, মুভি ইত্যাদির মাধ্যমে খুবই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। 

সার্বিকভাবেই মুসলিম প্রজন্ম এই অবাধ যৌনতাত কালচারে ভেসে যাচ্ছে। সামাজিক প্রতিটি নৈতিক ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এজন্য করণীয় হিসেবে মুসলিম কমিউনিটর ভিতর অশ্লিলতার বিরুদ্ধে এক সংগ্রামে আমাদের অবতীর্ণ হতে হবে। 

আর নওমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি নিয়মতান্ত্রিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও লিগ্যাল ব্যবস্থাপনা দাঁড় করাতে হবে। এই ব্যবস্থাপনার দাবিকে আমাদের বেশি করে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤى اِنَّهٗ كَا نَ فَا حِشَةً ۗ وَسَآءَ سَبِيْلًا

"আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ।"

(Quran, Al-Isra' 17: Verse 32)

জানা উচিৎ ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত সকল সম্পর্ক হারাম। সেটা মুসলিম এর সাথে হোক বা বিধর্মীদের সাথে। এ সবই জেনার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামে লাভ জিহাদ বলতে কিছুই নেই।

Read Also :

Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.