তোমাদের পাঠ্যবইয়ে আছে কিনা জানিনা। কিন্তু সকল চাকরির পরীক্ষায় কারক-বিভক্তির বিষয়টা লাগে। একটু বুঝলে জিনিসটা অংকের মতো। চলো দেখা যাক।
কারক
বাক্যের ক্রিয়াপদের (verb) সঙ্গে নামপদের (noun) যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। (relation of verb with noun).
বাক্য: রফিক সকালবেলা উঠানে নিজহাতে স্টোর থেকে ফকিরকে চাল দিয়েছে।
'দিয়েছে' verb-এর সাথে বাক্যের Noun-গুলোর যে সম্পর্ক (রফিক, সকাল, হাত, গরিব, চাল)।
কারক কয় রকম?
★কর্তৃকারক (কে করে/দেয়?): রফিক। [রফিক+০]
★কর্ম কারক (কী দেয়?): চাল। [চাল+০]
★করণ কারক (কী দ্বারা দেয়?): নিজহাতে [নিজহাত+এ]
★সম্প্রদান কারক (স্বত্বত্যাগ করে কাদের দেয়?): ফকিরকে [ফকির+কে]
★অপাদান কারক (কোথা থেকে দেয়?): স্টোর থেকে [স্টোর+ থেকে]
★অধিকরণ কারক (কখন/ কোথায় দেয়?): সকালে, উঠানে। [সকাল+এ, উঠান+এ]
বিভক্তি:
এই যে + চিহ্ন দিয়ে যে বর্ণগুলো লেখা, এগুলো বিভক্তি। বিভক্তি ৭ রকম।
১মা: শূন্য (রফিক, চাল)
২য়া : -কে
৩য়া: দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক
৪র্থী: ২য়া-র মতো (+কে)। পার্থক্য পরে বলছি।
৫মী: থেকে, চেয়ে (স্টোর থেকে)
৬ষ্ঠী: -র, -এর
৭মী: -এ, -য়, -তে।
তাহলে এখন দেখেন: রফিক সকালে/ সকালবেলায় উঠানে নিজহাতে স্টোর থেকে ফকিরকে চাল দিয়েছে।
এখানে,
★রফিক- কর্তৃকারকে শূন্য / ১মা বিভক্তি
★সকালে/সকালবেলায়- অধিকরণ কারকে ৭মী
★উঠানে- অধিকরণে ৭মী
★নিজহাতে- করণকারকে ৭মী
★স্টোর থেকে- অপাদান কারকে তৃতীয়া
★ফকিরকে- সম্প্রদান কারকে ২য়া
যদি ফকিরকে না দিয়ে আমাকে দিতো। তাহলে 'আমাকে' হতো: কর্মকারকে ২য়া।
★চাল- কর্মকারকে শূন্য/১মা।
কেউ না বুঝলে জানাবেন।