হলি উৎসব কিংবা বসন্তের রঙের উৎসব এটি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণ রাধিকার সাথে রঙ খেলায় মেতে উঠার গল্প থেকে এই উৎসবের জন্ম। ভারতে সুপ্রাচীন কাল থেকেই এটি হিন্দু ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই উৎসবকে সার্বজনীন ও বাঙালীদের উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পায়তারা চলছে। হলি উৎসব কখনোই সার্বজনীন উৎসব নয়। এটির উৎস, ইতিহাস, বিশ্বাস, আচার, পালন সর্বদিক থেকেই হিন্দুধর্মীয় একটি উৎসব। আমাদের পূর্ববর্তী মুসলিমরাও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করার ইতিহাস নেই।
খুব আফসোসের সাথে বলতে হয়, সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম সন্তানেরাও এই উৎসবে মেতে উঠছে নিজেদের মুসলিম পরিচয় ভুলে। আরবে মূর্তি পূজাও সংস্কৃতি ছিল। দেবদেবিদের নামে পশু জবাইও সংস্কৃতি ছিল। উলঙ্গ হয়ে কাবা শরীফ তাওয়াফ করাও সংস্কৃতি ছিল। এরকম অসংখ্য প্যাগান ফেস্টিভ্যাল ইসলামপূর্ব আরবের সংস্কৃতি ছিল।
কিন্তু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংস্কৃতির নামে সেগুলো পালনের অনুমোদন দেননি। বরং মুসলিমদের জন্য সেগুলো নিষিদ্ধ করেছেন। ভিন্ন ধর্মের বিশেষ উৎসব ও সংস্কৃতি কখনোই মুসলিমদের সংস্কৃতি হতে পারে না।
আমরা বলছি না, বাংলাদেশে এই উৎসব বন্ধ করর দেয়া হোক। এটি যেই ধর্মের সংস্কৃতি ও উৎসব তারা সেটা পালন করুক। কিন্তু এটি সার্বজনীন বানানো হল মুসলিমদের উপর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের নামান্তর। আবার সংস্কৃতির নামে মুসলিম ঘরের সন্তানদের জন্য এসবে অংশগ্রহণ করা হল নিজেদের আত্মপরিচয়কে বিলীন করে দেয়ার নামান্তর।