রিসার্চ করলেই দেখবেন- যারা সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভোগে, মানসিক অবসাদ হয় তারা হারাম রিলেশনের সাথে জড়িত।ওদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক অনেক বেশি। এই হারাম ভালোবাসার মোহে অন্ধ হয়ে তোমার কাছে আজ হালাল জিনিস ভালো লাগে না। আল্লাহর অবাধ্য হয়ে শান্তি পাওয়া যায় না, ভাই।
একজন শাইখ বলেছিলেন, ‘তুমি যখন হারামে ডুব দিবে, হারামকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন তোমার কাছে হালাল জিনিসগুলো ভালো লাগবে না, বিরক্তিকর মনে হবে এটাই স্বাভাবিক।’
এই যে দেখো, যারা নিজের দ্বীনকে বিসর্জন দিয়ে হারাম রিলেশনে লিপ্ত হয়েছে তারা কিন্তু দ্বীনের কথা শুনলে বিরক্তবোধ করে। হারাম রিলেশনের ভয়াবহতা সম্পর্কে শুনতে তারা আগ্রহী নয়। অথচ তারা অশ্লীল নাটক, মুভি, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি সম্পর্কে খুবই আগ্রহী।
আচ্ছা, তোমাকে যদি প্রশ্ন করি নিজের রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকে ভালোবাসো? যদি বলি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসো? চোখ বন্ধ করেই তুমি ‘হ্যাঁ’ বলে দিবে, কোনো কিছু চিন্তা করার আগেই... অথচ তুমি রবের হুকুম আর হালাল হারামের তোয়াক্কা না করেই হারাম রিলেশন করে যাচ্ছ।
যখন আল্লাহ বলেছেন,
‘যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।’
তখন কীভাবে তুমি অবাধে ফ্রি-মিক্সিং, হারাম রিলেশনে জড়িত থাকতে পারো?
যখন তিনি বলেছেন,
‘দৃষ্টির হিফাযত করো’
তখন কীভাবে তুমি বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টিভরে তাকিয়ে থাকো?
যখন তিনি বলেছেন,
‘জিলবাবের এক অংশ নিজেদের ওপর টেনে নাও।’
তখন কীভাবে তুমি বেপর্দায় চলাফেরা করো?
যখন মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেছেন,
‘দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর লজ্জাস্থান সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।’
এই মিথ্যা মিডিয়া তোমাদের সামনে এগুলো আড়াল করে রেখেছে। মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে রেখেছে। মিডিয়াপাড়া আমাদের এতটাই ব্রেনওয়াশ করে দিয়েছে যে, কেউ যদি হালালকে আঁকড়ে ধরতে চায় তখন তাকে সবাই অন্যচোখে দেখা শুরু করে।
বল্গাহীন এই প্রেমের অনিবার্য ফল হলো যিনা। আর যিনার শাস্তি অনেক ভয়াবহ।
[৪] সূরা বানী ইসরাঈল, ১৭ : ৩২।
[৫] সূরা নূর, ২৪ : ৩০।
[৬] সূরা আহযাব, ৩৩ : ৫৯।
[৭] সহীহ বুখারি, ৬২৪৩; সহীহ মুসলিম, ২৬৫৭।