ঈদ উৎসব নিয়ে কিছু কথা | Eid Festival

 তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদ মোবারক।

ঈদ উৎসব নিয়ে কয়েকটি কথা:

১। ঈদুল ফিতর আসে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পুরষ্কার স্বরূপ। মুসলিমরা রমজান মাসে আল্লাহর আনুগত্য আর দাসত্বের যেই চর্চা ধারাবাহিকভাবে করে এসেছে, সেই চর্চার মূল কথা হল, নিজেদের ভিতর আল্লাহর দাসত্ব আর আনুগত্যের চেতনাকে সুদৃঢ় করা। যারা নিজেদেরকে এই জায়গায় উন্নীত করতে পেরেছে, প্রকৃতপক্ষে ঈদের আনন্দ তাদের জন্যই।

২। ঈদুল ফিতর আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া মুসলিমদের জন্য প্রধান একটি উৎসব ও আনন্দের দিন। ইসলামের দাবি হল, মুসলিমরা এই দিনকে বর্ণিল উৎসব আর আনন্দ উদ্দীপনার সাথে পালন করবে। এদিনে নিজের উৎফুল্লতাকে দমিয়ে রাখা এবং নিজের পরিবেশকে মেঘলা বানিয়ে রাখা আল্লাহর নেয়ামতকে অবমূল্যায়ন করারই নামান্তর। 

৩। তাই ঈদের দিনে নিজের চারপাশে উৎসব আর আনন্দের আবহ তৈরি করুন। মুসলিম সন্তানদের এটা অনুভব করান যে, এই দিনটি অন্যান্য দিনের মত নয়। সাধ্য অনুযায়ী হাদিয়ার আদান প্রদান করুন। চোখ মুখে আনন্দের ছাপকে ধরে রাখুন। নিজের উৎফুল্লতা আর চাঞ্চল্যতায় আশপাশকে মাতিয়ে রাখুন। ঈদকে কেন্দ্র করে আনন্দের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

৪।  ঈদের অন্তর্নিহিত রহস্য তথা আবদিয়্যাতের যোগ্যতা যার হাসিল হবে তার ঈদ উৎযাপনেও সেই আবদিয়্যাতের বহিঃপ্রকাশ হবে।আমাদের বর্তমান মুসলিম সমাজের ঈদ উৎযাপনে রবের আবদিয়্যাতের ছাপ থাকে না। থাকে পাশ্চাত্যের দাসত্বের সুস্পষ্ট নিদর্শন। মুসলিম সমাজের ঈদ "ঈদ" থাকে না। সেটা ওয়ীদে ( আযাবের কারণ) রূপান্তরিত হয়ে যায়। গান বাদ্য, নাটক সিনেমা, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা,  যিনা ব্যভিচারের মত ভয়াবহ পাপসমূহের অবাধ চর্চা চলে ঈদকে কেন্দ্র করে। এর প্রধান কারণ মুসলিম সমাজ ঈদের রূহানিয়্যাতকে ভুলে বসেছে। 

আল্লাহ যেই ঈদকে দিয়েছেনই তার আবদিয়্যাত আর আনুগত্য চর্চার উৎযাপন হিসেবে, সেই ঈদকেই আমরা আল্লাহর অবাধ্যতা আর পাপাচারের উপলক্ষ্য বানিয়ে নিচ্ছি। ঈদকে আমরা পরকালের জন্য আযাবের কারণ বানিয়ে ফেলছি। এর থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

ঈদ আসুক মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের দরজায় আনন্দের বার্তা নিয়ে। সেই প্রত্যয়, চেতনা ও কামনা আমাদের ভিতর জাগ্রত হয়ে উঠুক।

Read Also :

Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.