"একসময় ছোটবড় সবকিছু আল্লাহর কাছে চাইতাম। মসজিদে গেলে মনে হতো আল্লাহর কাছে অনেককিছু বলার আছে, চাইবার আছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন যেন কমন পড়ে, এজন্য কত কাকুতিমিনতি করে আল্লাহর কাছে চেয়েছি। হয়তো খুব সিলি মনে হবে, কিন্তু সেইসময় আমাদের ছোট্ট হৃদয়গুলো জানত, এমন একজন আছেন, যার কাছে সবকিছু চাওয়া যায়, যিনি সবকিছু দিতে পারেন, ওনার কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
এখন আমরা শিখছি ইউ ক্যান ডু ইট, স্বপ্ন যেন তোমাকে ঘুমাতে না দেয়, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে কেউ আটকাতে পারবে না, তুমি চাইলে সব পারবে নানান ‘আমিময়’ মোটিভেশন।এই দুনিয়ার মোটিভেশন রবের সাথে সেই নিষ্পাপ সম্পর্কটা নষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহর কাছে নাছোড়বান্দার মতো কিছু চাইবার সেই সহজ সরল জীবনটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। অতি সাধারণ কিছু চাইতে গেলেও যে চোখে পানি চলে আসত, সারাদিন আল্লাহর নাফরমানিতে কাটিয়েও সেই চোখ আজ মরুভূমি—কাঁদলেও চোখে পানি আসে না। কী এক জিল্লতির জীবন!
_কাল আবার পাখিরা আকাশে উড়বে, পৃ. ৫৬।
ওয়াহব ইবনু মুনাব্বিহ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
“দুনিয়া ও আখিরাতের উদাহরণ হচ্ছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্ত্রীর মতো; তুমি যদি তাদের একজনকে খুশি করো তাহলে অপরজনকে অবশ্যই অসন্তুষ্ট করতে হবে।”
_হিলইয়াতুল আওলিয়া: ৪/৫১
“দুনিয়া ও আখিরাতের উদাহরণ হচ্ছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্ত্রীর মতো; তুমি যদি তাদের একজনকে খুশি করো তাহলে অপরজনকে অবশ্যই অসন্তুষ্ট করতে হবে।”
_হিলইয়াতুল আওলিয়া: ৪/৫১