কলেজের নাম: ঢাকা সিটি কলেজ
লোকেশন: সাইন্স ল্যাবরেটরি, ঢাকা।
পড়াশোনার মান: ভিন্ন ভিন্ন সাবজেক্টে বেশ কিছু ভাল টিচার আছেন, নামকরা শিক্ষকও আছেন। যেমন, ইংলিশের পরিচিত বই এডভান্স লার্নাস এর সহলেখক হোসেন স্যার আমাদের ক্লাস নিতেন। চমৎকার মানুষ। ক্লাস এবং ল্যাব মোটামুটি রেগুলার হয়, এটেনডেন্স এর উপর জোর দেওয়া হয়। তবে পাশ করা তুলনামুলক সহজ বোধ করি। আর পাশাপাশি নিজের রেগুলার পড়াশুনা এবং স্যার/কোচিং এরও কমবেশি প্রয়োজন হবে, কারণ ক্লাসে অনেকসময় গ্যাপ থেকে যায়। প্রথমদিকের সেকশনগুলো বিশেষ করে এইচএসসি আর এডমিশন টেস্টে মোটামুটি ভালোই রেজাল্ট করে।
নিয়মকানুন: ছেলে-মেয়ে আলাদা শিফট। মেয়েদের মর্নিং শিফট। নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মেইনটেইন করা লাগে। শার্ট ইন করা লাগে -_- । চুল, ফোন এইগুলা ব্যাপারে কড়াকড়ি আছে। দাঁড়ি নিয়ে প্যারা খাওয়া লাগবেনা ইনশা আল্লাহ। পড়াশুনার বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার জিনিসের স্কোপ অন্যান্য টপ কলেজগুলো থেকে অনেকটা কম বলে মনে করি। ফ্রি -মিক্সিং চাইলে এভয়েড করা বেশি কঠিন না।
খরচ: মাসিক বেতন ১৪০০ ছিল (আমার সময়ে। কিছুটা বাড়তে পারে)। পরীক্ষার জন্যে ফি লাগত মেবি একটা মনে নেই। তবে দুই বছরের শুরুতে একটা মোটা অংকের টাকা নেয়, ২০ হাজারের মত।
সাজেশন: ছাত্র-ছাত্র নির্ভর করবে। যদি কেউ বাসায় বসে পড়াশুনা ভাল করতে পারে, তার জন্যে ঢাকা কলেজ টাইপ কিছু বেটার। তাছাড়া যারা সরকারি স্কুলে বিরাট মাঠে খেলে, খোলা জানালার আলো-বাতাসের মধ্যে বড় হয়েছে, তাদের প্রচণ্ড দম বন্ধ লাগবে। যারা নটরডেমে পায়নাই বা পড়তে চায়না, আবার ঠেলা না দিলে পড়াশুনা করে না, আর্থিক সমস্যা তেমন নেই, বদ্ধ জায়গায় প্যারা খায় না, বাসা কাছাকাছি, তাদের জন্যে মোটামুটি একটা অপশন হতে পারে। একটা সুবিধা হল, আশেপাশে অনেক কলেজের টিচাররা পড়ান, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ উভয়েরই, ফলে কোচিং করতে বাড়তি জার্নির প্রয়োজন হবে না।