আমরা দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পরে ইসলাম কে নিয়ে কিছু করতে চাই, উম্মাহ কে নিয়ে অনেক ফিকির করি, দাওয়াতি কাজ করতে চাই। আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি?
জাহেলিয়াতের দীর্ঘ ২০ বছরে কোরআনের কয়টা সুরা শুদ্ধ করে পড়তে জানতাম? কয়টা হাদিস সম্পর্কে জানতাম? এমনকি ছোট্ট বেলায় মক্তবের পর কোরআন শেখার কোনো মুহূর্তই জীবনে আসেনি! দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পরে আমাদের আফসোসও হয়। ইশ! আরো আগে যদি বুঝতাম। তবে বাস্তবতা হল, দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পরেও অনেকেই আমরা অনেক বিষয়ে অবহেলা করি। যেমন,
√কোর-আনকে শুদ্ধ করে পড়া
√প্রতিদিনের পঠিত সূরা গুলোকে শুদ্ধ করা
√প্রতিদিনের পঠিতব্য সূরা গুলোর অর্থ এবং ভাবার্থ বোঝা
√হাদিস সম্পর্কে ব্যাখ্যা মূলক জ্ঞান অর্জন করা
√দৈনন্দিন মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে অবহিত থাকা
√বিজ্ঞ উস্তাদের সোহবতে/তত্ত্বাবধানে থেকে ইলম/জ্ঞান অর্জন করা- ইত্যাদি।
আমরা জানি এগুলোর গুরুত্ব কতটুকু। অনেকেই শিখতে চান। তবে দূরত্বের কারণে হোক, আর্থিক কারণে হোক, আর ভালো উস্তাদ চিহ্নিত করনের অভাবেই হোক, অনেকে তা শেখা শুরু করতে পারেন না।
সুতরাং প্রিয়রা, সামনে রমাদান আসছে। আত্নশুদ্ধির মাস। আল্লাহর সন্নিকটে যাওয়ার মাস। চলুন না এই মাসটা কে আমরা আল্লাহর রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেই!