শহুরে মানুষের কাছে শীত মানে ট্যাপের মুখ থেকে বের হওয়া কুসুম গরম পানি, দামি দামি ব্লেজার, কোট, মখমলের নানান পোশাক, বাহারি পিঠাপুলি, ফ্যামিলি ট্যুর... আরও কত বিলাসি আয়োজন। এতো আয়োজনের মাঝে শহুরে জীবনের শীতকালে ঠিক শীতটাই যেন অনুপস্থিত। হাড়কাঁপানো শীত কাকে বলে সেটা আমরা হয়তো টেরই পাই না।
কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিকদের কাছে শীতকাল যেন এক আতঙ্কের ঋতু। ছোট্ট শিশু সন্তানের শরীরটা গরম পোশাকে আচ্ছাদিত করতে না পারার গ্লানির ঋতু।
উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে গেছে হাড়কাঁপানো শীত। তীব্র শীত, প্রচন্ড কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে অসহায় মানুষগুলো কতটা কষ্টে আছে, আমাদের শহুরে জীবনে আমরা আসলে সেটা কল্পনাও করতে পারি না।
ঢাকায় শীত তেমন অনুভূত না হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। কাজেই এখনই শীতবস্ত্র বিতরণের উপযুক্ত সময়।
রাসুল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে মুসলিম কোনো বস্ত্রহীন মুসলিমকে বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরাবেন।’ [আবু দাউদ: ১৬৮২]
উত্তরবঙ্গসহ দেশের প্রত্যন্ত কিছু অঞ্চলে আমরা শীতবস্ত্র বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসুন প্রত্যেকেই যার যার সামর্থ্যানুযায়ী অসহায় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াই। আপনার সাদাকায় অন্তত একজন শীতার্তের শীত নিবারণ হোক।
ডাবলপার্টের পিউর ব্লেজার কাপড়ের জুট থেকে তৈরি প্রতিটি কম্বলের পাইকারি দাম মাত্র ২৮০৳। আর সরোবরের উন্নতমানের প্রতিটি শাল/চাদরের দাম মাত্র ৩২০৳। ২৮০/৩২০ টাকায় আমাদের এক বিকেলের নাস্তাও হয় না। অথচ এই টাকায় কোনো কোনো মানুষের ৪-৫ বছরের শীত নিবারণ হতে পারে। অসহায় মানুষগুলো একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে পারে। আসুন, প্রত্যেকে অন্তত একটি কম্বল অথবা একটি চাদরের টাকা দান করি।