অনেক দ্বীনি ফ্যামিলির বিয়ের আয়োজন দেখলে মনে হবে বিয়ের দিনটাতে আল্লাহ স্পেশাললি মুসলিমদের উপর থেকে শরীয়তের বিধান রহিত করে নেন। ভাবখানা এমন যে, বিয়ের দিন আল্লাহর অবাধ্যতা করাই যায়, এতে কোন সমস্যা নেই। আল্লাহর অবাধ্যতা করা ছাড়া কি আর বিয়ে হতে পারে? বিয়ের আনন্দ হতে পারে? নাঊযুবিল্লাহ।
একটা মেয়ে সারাবছর হিজাব করে কিংবা নিকাব করে। কিন্তু নিজের বিয়ের আয়োজন হোক কিংবা কাছের কারো বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হোক- এই মেয়েটাই সেদিন সেজেগুজে পর্দার বিধানের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজের সৌন্দর্যকে শত শত ছেলের সামনে মেলে ধরে। মনে হয় এই দিনের জন্য আল্লাহ পর্দার বিধান মাফ করে দিয়েছেন।
আমার খুব কাছের এক আত্মীয়ের বিয়ের সময় গানবাদ্য না বাজানোর জের ধরে মুরুব্বী টাইপের কিছু আংকেল আন্টি বলাবলি করছিল, একদিন একটু আকটু নাচ গান হলে সমস্যা নেই। বিয়ের দিন এসব না হলে চলে নাকি। একটু আনন্দ ফূর্তি করা লাগে না! নাঊযুবিল্লাহ! আল্লাহ যেই কাজের অনুমতি দেননি, সেই কাজ এক মিনিটের জন্য হলেও তো একজন মুসলিমের কাছে সমস্যাজনক মনে হবে।
এখনকার সময়ে বিয়ের সবচেয়ে জঘন্যতম আয়োজন হল ফটোগ্রাফি কর্ণার। একটা মেয়েকে স্টেজে সাজুগুজু করিয়ে বসিয়ে রেখে শত শত পুরুষের সামনে প্রদর্শন করানো হয়। এটা নারীর পণ্যায়ন আর দেহ প্রদর্শনী ছাড়া আর কিছুই না।
যার ইচ্ছা মেয়েটার সাথে ছবি তুলে যাচ্ছে। সামনে দর্শকের সারিতে চেয়ারে বসে শত শত মানুষ দেখছে, ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। আর ভাড়াটে ফটোগ্রাফারদের কথা তো আছেই। সারা জীবনের জন্য শত শত পুরুষের কাছে একটা মেয়ের বেপর্দা প্রদর্শনীমূলক ছবি ও ভিডিও চলে যাচ্ছে।
গায়রাত আর আত্মমর্যাদা বিসর্জনের এক মহড়া চলে এই আয়োজনে। একজন মুসলিম পুরুষ কিভাবে তার সদ্য বিবাহিত বউকে এভাবে শত পুরুষের সামনে বাজারি পণ্যের মত প্রদর্শনীতে ব্যস্ত রাখতে পারে? একজন মুসলিম নারী কিভাবে নিজের দেহ আর সৌন্দর্যকে শত শত পুরুষের সামনে উন্মোচন করে দিতে পারে? এগুলো আত্মমর্যাদাহীন পুরুষ আর নারীর ক্ষেত্রেই সম্ভব।