লোকটার পাশ ঘেষে এর আগে দু'একবার গিয়েছি। তিনি মুচকি হেসে সালাম দিয়েছেন। অবাক হতাম তখন,এই অবস্থাতেও তিনি হাসতে পারেন?
আজ ছিলেন নামাজে। বাম পা টাতে সমস্যা।স্বাভাবিক ভাবে ভাঁজ হয় না। নামাজের সময় তাই মোটামুটি এভাবেই বসতে হয়।বিছানা হিসেবে আছে ভাজ করা দুটো কাঁথা। মশারী ছিল না তার।কেউ একজন সম্ভবত ইদানিং মশারী দিয়েছে একটা। কিন্তু এই মশারীতে মশা থেকে বাঁচলেও বৃষ্টি থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন?
আমাদের দৈনন্দিন হাত খরচের সমপরিমাণ টাকা হয়তো এক সপ্তাহেও এই মানুষগুলো কামাতে পারেন না।বৃদ্ধ বয়সেও ফুটপাতে রাত কাটে তাদের। বৃষ্টিতে ভিজতে হয়,রোদে পুড়তে হয়। অথচ এত কষ্টের পরও আল্লাহর পক্ষ থেকে আরোপিত দায়িত্বগুলো তারা যথাযথভাবে পালন করে চলছেন।এত অভাব আর অসুস্থতার পরও তাদের মুখে থাকে কৃতজ্ঞতার হাসি।
এনাদের ফেইস নাই,ফেইসবুকও নাই। সমাজে তাদের কোন মর্যাদাও নাই।কিন্তু হয়ত তারা আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়।
সম্ভবত এদের সম্পর্কেই আল্লাহর রাসুল (স) বলেছেন—আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতী লোকদের পরিচয় বলব না?তারা দুর্বল এবং অসহায়;কিন্তু তারা যদি কোন ব্যাপারে আল্লাহর নামে কসম করে বসেন, তাহলে তা পূরণ করে দেন।[সহীহ বুখারী : ৪৯১৮]