অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?


অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকারী ব্যক্তি মহাপাপী। এদের ইবাদত, যিকির ও দোআ কিছুই কবূল হয় না। এরা আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে তখন, যখন আল্লাহ ভিষণ রাগান্বিত থাকবেন। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন,  مَنْ اقْتَطَعَ مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ كَاذِبَةٍ لَقِيَ اللهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ’’যে লোক মিথ্যা শপথ করে কোন মুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে এমন অবস্থায় যে, তিনি তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন’’ (বুখারী হা/৭৪৪৫)।

পেশাদার যেনাকারী ও মাল আত্মসাৎকারী ইবাদত ও দো‘আ কিছুই কবুল হয় না।  রাসূল (ছাঃ) বলেন,

 تُفْتَحُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ نِصْفَ اللَّيْلِ فَيُنَادِي مُنَادٍ: هَلْ مِنْ دَاعٍ فَيُسْتَجَابَ لَهُ؟ هَلْ مِنْ سَائِلٍ فَيُعْطَى؟ هَلْ مِنْ مَكْرُوبٍ فَيُفَرَّجَ عَنْهُ؟ فَلَا يَبْقَى مُسْلِمٌ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ إِلَّا اسْتَجَابَ اللهُ لَهُ إِلَّا زَانِيَةٌ تَسْعَى بِفَرْجِهَا أَوْ عَشَّارٌ.

‘মধ্যরাত্রিতে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতঃপর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন। কোন আহ্বানকারী আছে কি? তার সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়া হবে। কোন যাচ্ঞাকারী আছে কি? তাকে প্রদান করা হবে। আছে কি কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি? তার বিপদ দূর করে দেওয়া হবে। এই সময় কোন মুসলিম বান্দা যে দো‘আ করে, আল্লাহ তার সে দো‘আ কবূল করেন। তবে সেই যেনাকারিণীর দো‘আ কবুল করা হয় না, যে তার লজ্জাস্থানকে ব্যভিচারে নিয়োজিত রাখে এবং যে ব্যক্তি অপরের মাল আত্মসাৎ করে’ (ছহীহাহ হা/১০৭৩; ছহীহুল জামে‘ হা/২৯৭১; জামে‘ ছাগীর হা/৫২৮২; আত-তারগীব হা/২৩৯১)।

Read Also :

Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.