জনৈক বুয়েটের শিক্ষক ও বিখ্যাত ইউটিউবারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুয়েটে নির্মিত হয়েছে এই বছরের 'কাছে আসার গল্প' নাটক। তিনি নাটকটির সাথে নিজের সম্পৃক্ততা নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। আজ এক ভায়ের কাছে কাহিনি শুনলাম। অত্যন্ত আবেগমথিত কাহিনি। ভাবলাম আপনাদেরও শোনাই।
রক্ষণশীল পরিবারের বুয়েটপড়ুয়া মেয়ে। বাবা ওমরায় যাবেন শিগগিরই। মেয়ে বাবাকে বলে বান্ধবীর বাসায় রাতে থাকবে। বলে চলে যায় বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে। সহপাঠী বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেশ কয়েকবার কাছে আসার গল্প রচনা করে। ফিরে এসে সে লক্ষ্য করে পিরিয়ডের ডেট চলে গেছে। বমিটমি হচ্ছে। গল্পের কো-অথোরকে (বয়ফ্রেন্ড) জানাতেই সে পিঠটান দেয়। গল্পের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। মেয়ে পড়ে যায় ডিপ্রেশনে।
ডিপ্রেশন থেকে উদ্ধার করতে আসে আরেক সহপাঠী সিম্প। সে পাশে থাকে, ডাক্তার দেখায়, আল্ট্রাসনো করায়, সান্ত্বনা দেয়। ধীরে ধীরে সিম্পের সাথে প্রেম হয়ে যায়। কাছে আসার পর আবার কাছে আসে মেয়েটি। ন্যাড়া দ্বিতীয়বার বেলতলায় যায়। আগেরটা প্রকৃত বেলতলা ছিল না। এটাই প্রকৃত বেলতলা। মেসেজ হল: প্রকৃত বেলতলা পেলে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরাও নিশ্চিন্তে কাছে যেতে পারে। ওদিকে ছেলেদের প্রতি মেসেজ হল: যদি তুমি প্রকৃত বেলতলা হতে পারো, তবে মেয়ের অভাব হবে না। একবার কাছে আসার গল্প লেখা ঝানু মেয়েরা তোমার সাথেও গল্প লিখবে। সমস্যা নাই। লাস্টে দেখা গেল, আসলে প্রেগনেন্ট হয়নাই। পেটে গ্যাস হয়েছিল। প্রথম বিএফটার জন্য খারাপ লাগছে। ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে ডাক্তারি পড়লে আরও অনেক গল্প লিখতে পারতো। বেচারা।
বুয়েট ক্যাম্পাসকে এভাবে উপস্থাপন করায় ক্যাম্পাস আনন্দে উদ্বেল। সেই শিক্ষকও এমন একটা মেসেজ ছাত্রছাত্রীদের দিতে পেরে আনন্দে উদ্বেল। বুয়েটপড়ুয়া ছেলেমেয়ে ও তাদের বাপমা সবাই মিলে একসাথে দেখার মতো একটা সামাজিক নাটক। শুধু আপনাদের দোষ। শুধু আপনারাই সবকিছু নেগেটিভলি নেন।