যে পুরুষ শ্বশুরবাড়ির সম্পদে বিক্রি হয়। ঐ ছেলের নিকট আপনার আমার মেয়ে সুখী নয়। কর্মশীল পুরুষ পরের জিনিসের উপর লোভ করে না।
ধনী পুরুষ নয়' কর্মশীল পুরুষ দেখে মেয়ের বিবাহ দিন।
উচ্চ শিক্ষিত ছেলের কাছে নয়' উচ্চ পর্যায়ের তাকওয়াবান ছেলের কাছে মেয়ের বিবাহ দিন। যৌতুকের জুলুম থেকে রেহাই পাবেন' মেয়ে থাকবে আজীবন সুখী। সুখী হওয়ার জন্য উচ্চ লেখাপড়ার সার্টিফিকেটের দরকার হয় না। লেখাপড়া অল্প থাকলেও তাকওয়াবান হয়ে ইসলামের উপর অটুট থাকা সম্ভব। ডিগ্রির জোর না দেখে ঈমানের জোর দেখুন। যৌতুক এমনিতে বর্জন হবে সমাজ থেকে।
আমাদের নারীরা সেদিনই হারানো সম্মান ফিরে পাবে। যেদিন আমাদের সমাজের দায়িত্বশীলরা যৌতুক মুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
আমাদের নারীরা সন্তানের মা হয়' সে সন্তানকে যৌতুকের কাছে বিক্রি করে। যখন নিজের মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দিতে হয়। তখন সে যৌতুকের বিরুদ্ধে জুলুমের হাদীস শুনায়। আমাদের মন-মানসিকতা হচ্ছে আমরা নিতে পছন্দ করি' কিন্তু দিতে পছন্দ করিনা। ছেলের বিয়েতে নিতে ভালো লাগে। কিন্তু মেয়ের বিয়েতে দিতে ভালো লাগে না।
যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া দুটাই সমান সমান অপরাধ।
ধনীদের টাকা আছে' তাই যৌতুক দেয়। তাদের এই অপকর্মের ফলস্বরূপ গরিবদের ভোগতে হয়। টাকা থাক' বা না থাক' যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া দুটাই সর্বদা সমান সমান হারাম। দেওয়ার লোক' এবং নেওয়ার লোক' উভয়কে হাশরের ময়দানে জবাবদিহি করতে হবে।
বই: যৌতুকের বিরুদ্ধে লড়াই
=== লেখক মো. আলমগীর
প্রিয় ভাই ও বোনেরা যদি মনে করেন' যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ" যৌতুকহীন সমাজ হোক। তাহলে বইটি নিজে পড়ুন পরিচিতি সবাইকে উপহার দিন। বইটি পাচ্ছেন ঐকতান প্রকাশনা থেকে।