সবার জন্য কুরবানী - একটি জনকল্যাণমূলক আয়োজন

সবার জন্য কুরবানী - আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন,islam,

কুরবানীর টাকা কি বন্যার্তদের দান করা যাবে? 

অনুষ্ঠানের নামে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা, ফূর্তির নামে কনসার্ট আর ডিজে পার্টি এবং ঈদ উদযাপনের নামে নানা অপচয় ইত্যাদিতে কী পরিমাণ টাকা আমরা নষ্ট করি? 

কৈ, সেসব বন্ধ করে বন্যার্তদের টাকা দেওয়ার কথা তো কেউ বলে না! 

মূলত কুরবানীর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি খোদ গরিব মানুষেরা। পশু পালনকারী কৃষকের আয় এবং অনেক অভাবী মানুষের পুষ্টির সবচেয়ে বেশি যোগান হয় কুরবানী থেকে। সুতরাং কুরবানী না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেসব দরিদ্র মানুষ। 

Table of Contents

দ্বিতীয়ত যে বাঁধতে জানে, সে রাঁধতেও জানে। বাস্তবতা হলো— যিনি কুরবানী করেন, তিনি অভাবী মানুষকে নগদ দানও করেন, অসহায় মানুষকে নানাভাবে সহায়তাও করেন। 

কারণ কুরবানীর নির্দেশ যিনি দিয়েছেন, সেই মহান সত্তা অভাবী মানুষকে খাদ্য দান, নগদ সহায়তা এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন। সুতরাং একজন মুসলিমকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবার জন্য কুরবানী বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। কুরবানী করা এবং বন্যার্তদের দান করা দু’টি স্বতন্ত্র ইবাদত। এক ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ইবাদত বন্ধ করতে হয় না। 

অবশ্য কুরবানী করে যদি বন্যার্তদের মধ্যে বিলানো যায়, তা ক্ষেত্রবিশেষ বেশি কল্যাণকর হতে পারে। কারণ তাতে দু’টি লক্ষ্যই অর্জিত হয়। আমাদের দেশের অনেক বিত্তবান মানুষ একাধিক বা বহু পশু কুরবানী করেন। পরিস্থিতি সাপেক্ষে একটি মাত্র কুরবানী করে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো অধিক উত্তম। আর অপচয় এবং হারাম পথে ব্যয় না করে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো কেবল উত্তম নয়, অবশ্য-কর্তব্যও বটে।

সবার জন্য কুরবানী - একটি জনকল্যাণমূলক আয়োজন

অনেক অভাবী মানুষ বছরে কেবল কুরবানীর ঈদেই গরু বা ছাগলের গোশতের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান। তাঁদের বিষয়টি বিবেচনা করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতি বছর আয়োজন করে ‘সবার জন্য কুরবানী’।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক দিন যখন সূর্য ওঠে মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি গ্রন্থির বিনিময়ে একটি করে সদকা দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। দুজন মানুষের মাঝে ইনসাফ করা একটি সদকা, কোনো পথচারীকে তার যানবাহনে আরোহণ করতে বা তার সঙ্গে থাকা বোঝা ওঠাতে সাহায্য করা একটি সদকা, ভালো কথা একটি সদকা, নামাজের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ একটি সদকা এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানোও একটি সদকা।’ (বুখারি : ২৯৮৯, মুসলিম : ১০০৯)

কুরবানী একটি আর্থিক ইবাদত, যা প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। যারা কোনো কারণে নিজের কুরবানী নিজে করতে পারছেন না, কিংবা নিজ এলাকায় কুরবানীর পাশাপাশি দরিদ্র অঞ্চলে আরেকটি কুরবানী করতে ইচ্ছুক, তাঁরা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে কুরবানীর দায়িত্ব দিতে পারেন। ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি হিসেবে কুরবানীর দায়িত্ব গ্রহণ করে। এসব কুরবানীর পশু উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চলে যবেহ করে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে গোশত বিতরণ করা হয়।

আপনার একটি কুরবানী অথবা কুরবানীর অংশ অনেক অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।

✳️ অংশগ্রহণের জন্য শর্ত: হালাল উপার্জন থেকে কুরবানীর টাকা দিতে হবে। কোনোভাবেই এই শর্তের ব্যত্যয় করা যাবে না।

সবার জন্য কুরবানী - আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

✳️ আপনার পশুটি কোথায় এবং কখন কুরবানী হবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে ইন-শা-আল্লাহ।

✳️ প্যাকেজসমূহ:

✅ ১টি গরু: ৭০ হাজার টাকা (প্রসেসিং কস্টসহ)।

✅ ১টি ছাগল ১২ হাজার টাকা (প্রসেসিং কস্টসহ)।

✅ গরুর এক-সপ্তমাংশ ১০ হাজার টাকা (প্রসেসিং কস্টসহ)।

✳️ অংশগ্রহণের পদ্ধতি:

✅ এই প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অংশগ্রহণ করতে ক্লিক করুন: https://assunnahfoundation.org/donate/qurbani 

যাঁরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা জমা করবেন, তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের কাছে থাকবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৬৪০ জনের পক্ষ থেকে ৫১টি জেলায় ৪৭টি গরু ও ৩০৪টি ছাগল কুরবানী করে ৮ হাজার দুস্থ পরিবারের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন এখানে:

✅ অংশগ্রহণের শেষ তারিখ: ৬ জুলাই রাত ১২টা (বাংলাদেশ সময়)।

(এ বছর সবার জন্য কুরবানী প্রজেক্টে যুক্ত হচ্ছে গোশত সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম। ঢাকা থেকে কুরবানীর দিন গোশত সংগ্রহ পূর্বক ফ্রোজেন গাড়ির মাধ্যমে দরিদ্র অঞ্চলে বিতরণ করা হবে। এই বিষয়ক বিস্তারিত ঘোষণা আসবে শিগগিরই ইন-শা-আল্লাহ।)

Read Also :

Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.