পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যারা কাউকে হত্যা করে বা হত্যার নির্দেশ দেয় তাদের জন্য কিছু কথাঃ
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কেউ কোনো মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে, এরপর তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে, নেক আমল করেছে এবং হিদায়ত কবুল করেছে। তার তাওবা কি কবুল হবে? তিনি বললেন, "মুসলমানের হত্যাকারীর তাওবা কীভাবে কবূল হতে পারে?" আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীর হাত ধরে নিয়ে আসবে, তখন তার শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবে,
"ইয়া আল্লাহ্! আপনি এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করুন, সে আমাকে কি কারণে হত্যা করেছিল?"
ইবন আব্বাস বলেন, এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেন :
"কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুসলমানকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম।" (৪:৯৩)
পুলিশ-ডিবি-ডিজিএফআই - এর ভাইয়েরা, এখন গুলি করে নিই, পরে ভালো হয়ে যাব, হজ্জ্ব করে সব পাপ মুছে ফেলব - এই সুযোগ নেই কিন্তু।
দুনিয়াতে হয়তো আপনি ধরা-ছোয়ার বাইরে আছেন, থাকছেন - আখিরাতে প্রত্যেক মৃত মুসলিম কিন্তু ঠিকই তার হত্যাকারীকে চিনতে পারবে, খুঁজে বের করে ফেলবে।
কার হুকুমের জন্য, কার হুকুমতের জন্য, কার কী লাভে - আপনি জাহান্নামে যাচ্ছেন?
টীকা:
আল্লাহ চাইলে এদের ক্ষমাও সম্ভব। তিনি শিরক ছাড়া যে কোন গুনাহই ক্ষমা করতে পারেন। কিন্ত এই পাপ ক্ষমা করবেন কিনা, ছেড়ে দেয়ার ইরাদা করবেন কিনা সেটাই ভাবার বিষয়। কারন আর কোন ফিসক ও অপরাধের বিষয়ে এত কঠোর আয়াত ও হাদিস দেখা যায়না।
তাই খুনীদের বিষয়ে যেসব ধমকি এসেছে তাতে আমাদের জন্য আতঙ্কিত ও জাহান্নামী হওয়া ছাড়া অন্যকিছুর কল্পনা করা কঠিন।