অভিধান এর নির্মাণকৌশল

অভিধান এর নির্মাণকৌশল, islam, বাংলা গ্রামার, ইসলাম, আবির হোসেন, Abir Hosen

অভিধান এর নির্মাণকৌশল 

অভিধান প্রণয়নের শুরুতেই স্থির করে নিতে হয় লক্ষ্য-পাঠকমণ্ডলী এবং এটা স্থির হয়ে গেলে সংকলক সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেন তাঁর অভিধানে গৃহীত হবে কোন ধরনের শব্দ। যদি তাঁর লক্ষ্য পাঠকেরা হয় বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাহলে উনি সে-সমস্ত শব্দই গ্রহণ করবেন, যার মুখোমুখি সাধারণত হয় ছাত্রমণ্ডলী। 

অভিধান এর নির্মাণকৌশল

সাধারণত তিনি গুরুত্ব আরোপ করবেন করবেন বিজ্ঞানশাস্ত্রীয় শব্দ; এবং সংকলন করবেন সে-সব অপ্রচলিত শব্দ, যা ব্যবহৃত হয়েছে প্রধান সাহিত্যস্রষ্টাদের রচনায়। সমকালের জীবন্ত শব্দপুঞ্জের ওপর, বেশি জোর দেবেন সাহিত্য ও মানববিদ্যা-বিষয়ক শব্দের ওপর, কিছু পরিমাণে সংগ্রহ লক্ষ্য-পাঠকমণ্ডলীর ভিন্নতা অনুসারে সংকলিত শব্দেরও ভিন্নতা ঘটবে আনুশাসনিক-ব্যবহারিক অভিধানে। 

লক্ষ নিশ্চিত হলে অভিধানপ্রণেতা শুরু করেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে গৃহীত শব্দের বানাননির্ধারণ, উচ্চারণ-নির্ণয়, ব্যুৎপত্তি শনাক্তি, অর্থনির্ণয় ও সংজ্ঞারচনা ।(‘সংজ্ঞা শব্দের মূল অর্থ ‘নাম’, ‘নাম’-এর ব্যাখ্যাকে বলা হয় ‘সংজ্ঞার্থ’; কিন্তু এখন শব্দ সংগ্রহ। 

অভিধানের ‘সংজ্ঞা' শব্দটি 'সংজ্ঞার্থ' অর্থে ব্যবহৃত হয়), ও অর্থবিন্যাস। এরপর অভিধানপ্রণেতা প্রবেশ করেন তাঁর মূল ও জটিল-দুরূহ কাজে : শব্দের অর্থনির্ণয় ও সংজ্ঞারচনায়। অভিধানে সাধারণত শব্দটির মৌল অর্থ পায় অগ্রাধিকার এবং পরে স্থান পায় অন্যান্য অর্থ | 

Read Also :

Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.